সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
আবু নাইম শাহ, গোপালগঞ্জ, কালের খবর :
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২ য় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে ৫০ বছরের উর্ধে এক বৃদ্ধ।
এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পূর্ব রামশীল গ্রামে।
জানা যায় গত ৯ মার্চ দিবাগত রাত ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে । শিশুটির নানী সাংবাদিকদের বলেন- আমার মেয়ে এবং মেয়ের জামাই ঢাকায় চাকরি করার কারনে নাতি দুটো আমার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। কিন্তু গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী মৃত্যু বিজন্দ্র নাথ হালদারের ছেলে পাচ সন্তানের জনক গনেশ হালদার (৫৫) আমার ঘরে এসে ছোট নাতী (৮) কে বলে পাশের বাড়ি বৈষ্ণনব সভা আছে চল খেতে যাবো, তখন আমি বলি ঐ বাড়িতে আমাদের দাওয়াত নেই ওহ যাবে না আপনি যান।
গণেশ হালদার বলেন ও ছোট মানুষ আমার নাতি হিসেবে যাবে এই বলে নিয়ে যায়।
ঐ বাড়ির খাবার খেয়ে আমার নাতিকে নিয়ে বিলের ভিতর ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়।
তারপর গণেশ হালদার বলেন নাতি তোর দিদাকে বিয়ে করার পর খাটে বসে যা করতাম তা কি করবি। তখন আমার নাতি বলে তুমি দিদার সাথে কি করতা আমি কি জানি। তখন গণেশ ওকে জোর করে মাটিতে শোয়াবার চেষ্টা করে। এ সময় মাটিতে শুইতে না চাইলে লম্পট একটি বিড়ি জ্বালিয়ে ধোয়া ওর মুখের ভিতর দিয়ে মুখ চেপে ধরে এতে দম বন্ধ হয়ে আসলে তখন আমার নাতি লম্পটের চোখে আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা দিলে যখন সে চোখ মুছতে থাকে এই সুযোগে আমার নাতি পালিয়ে আসার চেষ্টা করলে ওকে বলে এই ঘটনা কাউকে বলবি না তোকে কাল চুড়ি কিনে দিবো ও পাচশত টাকা দিবো।
যখন নাতি ঘরে এসে আমার কাছে সব ঘটনা খুলে বললে আমি ওর নানাকে সব ঘটনা বলি।
তখন ওর নানা এলাকার মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে জানায়।
এবিষয়টি নিয়ে ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুবল হালদার, লিটন হালদার ও সুবোধ হালদার মিলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
শিক্ষার্থীর নানী আরো বলেন আমাদের এ বিষয় টি নিয়ে থানায় মেম্বার যেতে নিষেধ করছে। তারা ঘরোয়া ভাবে মিটিয়ে দিবে। কিন্তু এখন আমি নাতিদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত আছি।
আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয় টি নিয়ে লম্পট গণেশ হালদারের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গণেশ এর স্ত্রী সবিতা হালদারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন – বিষয়টি শিক্ষার্থীর নানি আমাকে জানিয়েছে, তার এ বয়সে কাজটি করা ঠিক হয়নি, যদি এরকম কাজ করে থাকে আমি তার বিচার চাই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি।